গরিবের মেয়ের বলিদান | Sacrifice of a poor girl Thakurmar Jhuli Golpo

গরিবের মেয়ের বলিদান | Sacrifice of a poor girl Thakurmar Jhuli Golpo

এই কাহিনী হল রানী নামে | একটি মেয়ে রানী একজন পঙ্গু মেয়ে তার জন্মের আট বছর পরেই তার মায়ের মৃত্যু হয়ে যায় রক্তশূন্যতা রোগ হওয়ার কারণে তার বাবা কোন কাজ করতো না বরং সব সময় মদের নেশায় থাকতো যতদিন রানীর মা বেঁচে ছিল ততদিন রানীর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতো রানীর বাবা মোহন পাল আর মায়ের উপার্জন করা টাকা কেড়ে নিতো আর সব টাকা মদের পেছনে উড়িয়ে দিতো কঠোর পরিশ্রম আর পেট ভরে খেতে না পাওয়ার কারণে রানীর মায়ের শরীরে নানা রোগ দেখা দেয় আর এভাবেই একদিন চিকিৎসার অভাবে মারা যায় | রানীর মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা মোহন পাল তার আট বছরের ছোট মেয়েরা রানীকে দিয়ে  ভিক্ষা করতে বাধ্য করে | আল্লাহর নামে নামেদ দু এক টাকা দেন না সাহেব সকাল থেকে কিছুই খেতে পারিনি সাহেব |

গরিবের মেয়ের বলিদান | Sacrifice of a poor girl Thakurmar Jhuli Golpo


 এক টাকা দেন না সাহেব এই যা যা এখান থেকে সরে যানা জানি কোথা থেকে সকাল সকাল চলে আসে | রামের হাতের পার্টিতে কেউ দুই টাকা দেয় কেউবা এক টাকা দেয় | আবার কেউ কেউ তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় সকাল সকলের রানী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত আর তাকে তার বাবার জন্য অনেক টাকা ভিক্ষা করে এনে দিতে হতো যেদিন সে কম টাকা উপার্জন করতো সেদিন তার বাবা তাকে অমানুষের মত মারতো | বেচারিরা রানিচক অত্যাচার সহ্য করত কিন্তু সে তার বাবার মুখের উপর কখনো কোনো কথা বলল না | একদিন ভিক্ষা করতে করতে রানীর খুব খিদে লাগে  আর তখন সে তার ভিক্ষার টাকা থেকে জিলাপী ক্রয় করে একটা জিলাপি সে নিজে খায় আর একটা তার বাবার জন্য নিয়ে যায় সন্ধ্যায় যখন সে বাড়িতে পৌঁছায় তখন এসে গেছিস তুই আজ কত টাকা ভিক্ষা করবি বাবা আজকে বেশি টাকা হয়নিকিন্তু আমি তোমার জন্য আজকে জিলাপি নিয়ে এসেছি | হারামজাদি আমার মদের টাকা কম পরেছে আর তুই শুধু খাবার নিয়ে পড়ে তখন তার বাবা তাকে অনেক মারে থাকে যতক্ষণ না সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় | 

তার বাবার নির্দয় মারে ফলে বেচারী রানীর শরীরে অনেক জ্বর চলে আসে | ঠিক তার পরের দিন সকালে তার বাবা তাকে ডাকতে গিয়ে বলে আরে ও মহারাণী আর কতক্ষণ শুয়ে থাকবে | আজকে ভিক্ষা করতে যেতে হবে না নাকি | বাবা আজকে শরীরটা ভালো লাগছেনা পুরো শরীর খুব যন্ত্রণা আর ব্যথা করতেছে দুই মিনিটের মধ্যে উঠে যা নাহলে এমন মার দেব সকল যন্ত্রনা ভালো হয়ে যাবে | মার খাওয়ার ভয়ে রানী জ্বর শরীরে মেয়েরা নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়ে পড়ে | কিন্তু রানীর শরীরে এতটাই খারাপ ছিল যে ভিক্ষা করতে করতে একসময় তার মাথা ঘুরতে ঘুরতে সে রাস্তার মধ্যে পড়ে যায় ওই রাস্তা দিয়ে না জানি কত মানুষ যায় কিন্তু কেউ তাকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায় | 

আবার কিছু মানুষ দু এক টাকা করে দিয়ে যায় এভাবে হতে হতে সেখানে যে পরিমাণ টাকা ছিল তাতে তার বাবার মদের টাকা হয়ে যায় | সময় এভাবেই চলে যায় সময় ও নদীর স্রোতের মতো বয়ে যাচ্ছিল এরমধ্যে রানীর বয়স তখন সতের বছর হয়ে যায় তখন |তখন সে আর ভিক্ষা করে না বরং তার মায়ের মত সে অন্যের বাড়িতে কাজ করে একদিন সে যখন অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যাচ্ছিলো ঠিক তখন | তখন তার বাবা মোহন পালের ঢাকার বন্ধু প্রীতম পাল তার বাড়িতে আসে সে রাণীর দিকে কেমন যেন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল তখন তার বাবা তার বন্ধু প্রীতম পার্কে বলে আরে বন্ধু তুই তো দেখি অনেক বদলে গিয়েছিস সোনার আংটি জামা কাপড় ঢাকা জেকি তোর কোন লটারি লেগে গিয়েছে নাকি কোন লটারি না পরিশ্রমের উপার্জনে ভাই | 

আরে এসব বাদ দে একটু আগে যে মেয়েটি চলে গেল সেটা তোর মেয়ে না | হ্যাঁ এটা তো আমারে মেয়ে তখন তার বন্ধু বলে দেখ ভাই বন্ধু তোর জন্য একটা কথা আমি নিয়ে এসেছি তোর মেয়ের বিয়ে সম্পর্কে তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি ওর বিয়ে দিয়ে দিলে আমার ঘর কে চালাবে আমার সব প্রয়োজন নেশার খরচ কে চালাবে আরে আগে শোনেক তারপরে কথা বলিস টাকা থেকে আমার একজন পার্টনার এসেছে সে খুব বড়লোক ছেদর মেয়ে রানী কে দেখেছে এবং তার মেয়েকে খুব পছন্দ করেছে আর তার সাথে তোমাকে বিয়ে দিতে চাই তুই যদি তোর মেয়েরা নাকি ওর সাথে বিয়ে দিস তাহলে তোকে দুই লাখ টাকা দিবে আরে কি বলিস এটা শোনার পর রানীর বাবার মাথা ঘুরে যায় 2 লাখ টাকা তাও আবার বিয়ের জন্য তখন তার বন্ধু তাকে বলে সে গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করতে চাই আর এ জন্যই তোকে টাকা দিবে তুই যদি রাজি থাকিস তাহলে বল না হলে আরো অনেক মেয়ে আছে বিয়ে দেওয়ার জন্য | 

আর তারপর রানির সাথে বিমলের বিয়ে হয়ে যায় দুদিন পরেই বিমল তাকে ট্রেনে করে ঢাকায় নিয়ে চলে যায় | 17 বছরের রানীর নতুন স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় চলে যায় বিমল রানিকে খুব ভালোবাসে যার জন্য সে পুরনো সব কষ্টের কথা ভুলে যায় কিন্তু এক সপ্তাহ পর তার স্বামী বলে রানী আমাকে তিন দিনের জন্য বাইরে যেতে হবে আমি তোমার জন্যে সবকিছু রেডি করে যাচ্ছি | তোমার কোন জিনিসের সমস্যা হবে না তিনদিনেই অজানা শহরে আমি কেমন করে থাকবো অচেনা কেন হলে তোমার স্বামী এখানেই থাকে তাই তোমার কোনো চিন্তা নেই আর এটা তো মাত্র তিন দিনের এ বিষয়ে বিমল রানীকে রেখে চলে যায় | তার স্বামী চলে যাওয়ার এক ঘণ্টা পার হয় না এরমধ্যে দরজাতে একটা অচেনা লোক এসে দরজায় ধাক্কা তে থাকে তখন রানী দরজা খুলে দিতে সেই লোক ঘরের মধ্যে জোর করে ঢুকে পড়ে | 

এবং দরজা বন্ধ করে দেয় তখন রানী চিৎকার করে বলে আরে আরে আপনি দরজা কেন বন্ধ করে দিলেন তখন সেই ব্যক্তিটি বলে তোর স্বামীকে পাবে 10000 টাকা দিয়েছি এখানে আসার জন্য তাই না বেশি চিৎকার চেঁচামেচি না করে আমাকে খুশি করো তাড়াতাড়ি | এসব আপনি কি বলছেন আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা আরে বুঝতে পারছিসনা যাকে তুই তোর নিজের স্বামী ভাবতেছে সে তোর দালান

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the Comment box.

Previous Post Next Post